রাজশাহী রেঞ্জ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি রাজশাহী রেঞ্জ। শিক্ষা, সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং সহ¯্র বছরের প্রাচীনতম নিদর্শনে রাজশাহী রেঞ্জ প্রাচুর্যপূর্ণ। ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ যার রয়েছে শতবর্ষীয় ইতিহাস। ১৮৬১ সালে অবিভক্ত বাংলায় তথা ব্রিটিশ ভারতে পুলিশ আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়। যথাযথভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রশাসনিক কারণে প্রাদেশিক পুলিশকে কয়েকটি রেঞ্জে বিভক্ত করা হয় এবং রেঞ্জের প্রধান হিসেবে একজন ডিআইজি পদায়ন করা হয়। ১৮৮৮ সালে বিভাগীয় হেডকোয়ার্টার্স মুর্শিদাবাদ হতে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালের ২০ জুলাই জলপাইগুড়ি বিভাগ থেকে জলপাইগুড়ি রেঞ্জ আলাদা পুলিশ ইউনিট হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ নাগরিক মিস্টার আলফ্রেড আর্নেস্ট ওস্যালিভেন আইপি এই রেঞ্জের প্রথম ডিআইজি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর নবগঠিত রাজশাহী রেঞ্জের সদরদপ্তর নীলফামারি জেলার সৈয়দপুরে কার্যক্রম শুরু করে। ২৩ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে রাজশাহী রেঞ্জ সদর দপ্তর রাজশাহীর বর্তমান বোয়ালিয়া থানার কেশবপুরে স্থানান্তর করা হয়। গঠনকালে রাজশাহী রেঞ্জের জেলার সংখ্যা ছিল ১৬ টি। এ রেঞ্জ ভেঙ্গে রংপুর রেঞ্জ গঠন হওয়ায় ২০১০ সালের ১ জুন তারিখে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাটসহ ৮ টি জেলা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জ ০৮ টি জেলা, ০১ টি আরআরএফ এবং ০৪ টি ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার নিয়ে গঠিত। একজন ডিআইজির নেতৃত্বে ০৪ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৭ জন পুলিশ সুপারসহ ১২,৫৪৮ জনের অধিক পুলিশ সদস্য নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশ। রেঞ্জের সীমান্তবর্তী চারটি জেলার সাথে রয়েছে ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদের আন্তর্জাতিক সীমারেখা। রাজশাহী বিভাগের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও রংপুর বিভাগ, দক্ষিণে খুলনা ও ঢাকা বিভাগ এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার প্রাচীন জনপদ পুন্ডু ও বরেন্দ্র নিয়ে রাজশাহী বিভাগ গঠিত, যার আয়তন ১৮১৯৭ বর্গ কিলোমিটার।
রেঞ্জের ৭২১ টি বিটে চালু করা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম, রয়েছে এসএমএস সার্ভিস, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ডেডিকেটেড গাড়ি সার্ভিস। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে রয়েছে সাইবার পুলিশ ইউনিট। ঐতিহাসিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক স্থাপনা, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টিরও অধিক কেপিআই নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০৪১ "পুলিশই হবে জনগণের প্রথম আশ্রয়স্থল" এটি বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই রেঞ্জে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। গতানুগতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকার বিশেষ অপরাধ, জঙ্গি ও চরমপন্থীদের দমন যেমনিভাবে আমাদের পেশাকে করছে সমৃদ্ধ, তেমনিভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নদী বিধৌত গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের সম্মিলিত অনুভূতি আমাদেরকে দিয়েছে স্বর্গীয় প্রশান্তি। আমাদের অঙ্গীকার, “একুশ শতকের বাংলাদেশ পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস